তন্ময় বসাক
চিলেস্তোরা
এক অদ্ভুত সরলরেখা মাথার উপর কাত হয়ে পড়ল। বুঝলাম আমার বয়সের এখনো যৌবনের রেস আছে। চিত্রকল্প মৃত্যুর মতো ছড়িয়ে পরে দিকবিদিক। এক কাপ কফি বানানোর পর গরম চায়ে মুখ দিলাম। কতক বিচ্ছিন্ন লাগল নিজেকে। অভ্যেসবসত স্বর্গ খুঁজে নিই। হাফ্প্যান্ট, স্কুলবাড়ি, শহর পালটে আনো বাড়ির দুয়ারে। ঝনাক করে একটি মেয়ে পুরুষ দিয়ে গেল, বাস চলছে আমার গতিতে, নিভু চোখে আবিষ্কার এক চমকের। ফুলহীন গোলাপ রোজ ফোটে, রোজ ছাদে যায়, পায়রারা গম খেতে খেতে ভাষাহীনতার দুঃখ পায়। যাকে মা বলি সেই প্রেমিকা, ভোগ আর ভোগীর সেই সন্তানই জীব ও জীবানুর। কতদিন আলোয় মুখ দেখিনি। সূর্যটা মুখ ফিরিয়ে গেছে পূর্বাহ্ণের দিকে। প্রতি জন্মদিন এনে দেয় মৃত্যুসংবাদ আমার দীর্ঘায়ুর জন্যে। ধাতস্থ হই, কাটাছেঁড়ার পর অ্যাক্সিডেন্ট হলে। আজ এমনি ঘটনায় মানুষ ছোটে ঘাতক ও ক্ষতকের তাড়নায়। আমি পাই ক'ফোঁটা রক্তে ফণিমনসার বাঁচার উদ্দেশ্য। বর্তমানগুলি একে একে সাজিয়ে ফেললাম কাগজে। গন্ডগোল, ধস্তাধস্তি, বাবার বুনিয়াদি উচ্চারণে তারিখ শুরু হল। ড্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে আছি, শহরের ব্যস্ততম রাস্তা, দেখছি উট চলে যাচ্ছে আমারই কর্মক্ষেত্রের ওপর দিয়ে। খাবার জন্য ভাত, বাসি ডাল, আর পেঁয়াজের খোলস এসে গেছে ভুল করে। ভক্তরা পিউরিফাইন হচ্ছেন আস্ত এক চাবুকের ঘাঁ দিলে। ঘুলঘুলি দিয়ে শীত নেমেছে বরমালা হয়ে। এই, ইতিহাস শুরু হল সুদ কষা দিয়ে। গন্তব্যটা প্রতিবার ধোঁয়ার সৃষ্টি করে। সর্বনাশ, যাকে উল্কা বলে ডাকি সে-ই গ্রহণ বলে অন্য কাউকে। রোজ হাসিখুশি আস্তানাটা সূর্য বদলায়। আটপৌরে রং ভেসে বেড়ায় গন্তব্যে। মানুষের মনে বিদ্বেষ কলম বদলায়। এভাবেই সামাজিকতা জমা হয় রাজতন্ত্রের জমানায়।
Comments
Post a Comment