শাশ্বতী গাঙ্গুলি

কোয়ারেন্টাইনে জীবন



অনতিদূরে মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে,জীবনের সাথে তার একচুল দুরত্ব আজ।মৃত্যু বুঝি জীবনকে ভালোবাসে? তাই এত গাঢ়  আলিংগন।জীবন যে মৃত্যুকে চায়না।তার যে অনেক কাজ বাকি পড়ে আছে,মৃত্যু সে কথা বোঝে কই? ছেড়ে যেতে তার মন চায় না যে,এ কেমন মন? যে ভালবাসা বোঝেনা? জীবন অনেকবার মৃত্যুকে বলছে সে কথা।তারপর? একদিন আসবেই  যখন জীবন মৃত্যুকে একা করে চলে যাবে জীবনের পথে।মৃত্যুর সাথে তিলে তিলে দুরত্ব বাড়ছে তার,বাড়াতেই হবে।
নিঃস্তব্ধ  প্রহরগুলো মাথা রাখে কাঁধে।ক্লান্ত চোখের পাতা।রোজই মৃত্যু গুনে নেওয়া, শূণ্যপুরে ক্রমাগত একা হয়ে যাওয়া।পৃথিবী প্রহর গোনে, আমিও।একবুক হাহাকার নিয়ে সূর্য  ওঠে তবু।
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সব ঔদ্ধত্যের  পরাজয় বলে আমি নিরাময় চাই, আমাদের পূর্ণ  মুঠি থেকে একমুঠো চাল না-হয়  দিলাম। দেবতার  পায়ে ফুল নয়,নিঃশব্দ ধ্বংসের পদতলে এ অঞ্জলি প্রার্থনা হোক।আসুক স্বপ্নের ভোর, তখন আবার তোমার হাত ধরে হেঁটে নেব আরো একবার।
 নিঃস্তব্ধ প্রহরগুলো মাথা রাখেকাঁধে।ক্লান্ত চোখের পাতা।রোজই মৃত্যু গুনে নিতে নিতে
শূণ্যপুরে ক্রমাগত একা হয়ে যাওয়া।পৃথিবী প্রহর গোনে, আমিও।একবুক হাহাকার নিয়ে সূর্য  ওঠে তবু।
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সব ঔদ্ধত্যের  পরাজয় বলে আমি নিরাময় চাই। আমাদের পূর্ণ  মুঠি থেকে সব অধিকার খসে পড়ে।  ফুল নয়,নিঃশব্দ ধ্বংসের পদতলে মুষ্টিবদ্ধ বিবিক্ত অঞ্জলি  দিয়ে  হোক প্রার্থনা। আসুক স্বপ্নের ভোর। তখন আবার, তোমার হাত ধরে হেঁটে নেব আরো একবার।
তুমি যে জানলা দিয়ে সোনা রোদ দেখো,
সে জানলা আমার ঘরে নেই।আকাশকে দেখে
তুমি যখন ভাবো আহা কত নীল, চোখ ভরে যায়।ঠিক সেই সময় আমার পেটে মোচড়ে ওঠে খিদে,মাথার  ওপর খোলা আকাশ,বসন্তের হাওয়া,গোটা পৃথিবীর নিশ্চুপ হয়ে যাওয়ায় কান পেতে শোনো, বাতাসে দূষণ নেই আর।অন্ধকার রাতে ফুটফুটে তারা জেগে থাকে, ভোর হলে কানে আসে পাখীর কুজন।কিন্তু এ পৃথিবী তোমার শুধুই।আমার এখানে নেই প্রবেশের কোনো অধিকার।আমি শুধু পরিযায়ী শ্রম, বিনিময়ে পথ হাঁটি,ক্লান্ত,অবশ দেহে  অনেকটা পথ, সাথে আছে খিদেরা প্রকট।  চাঁদ,তারা,ফুল,পাখি,আকাশের নীল ছাপিয়ে আমার খিদে, সত্যি এটাই।মারণ রোগের বিষ, মুখ ঢেকে রাখি তবু খিদে পায়,বড় খিদে পায় তাই...

Comments

পাঠকের পছন্দ