অত্রি ভট্টাচার্য

কোয়ারান্টাইন


এভাবে বন্দী শব্দে মুড়ে নেওয়া যায়,
পুরনো পেপার। রঙে এখনো নাদান
তুলিদের বলা যায়, আমাদের গায়ে
অপূর্ব গ্রাফিতি কর। হারাকিরি আন।
এ বন্ধ মৌচাক কিসের প্রতীক?
একটানা গুঞ্জন তোমাকে ছুঁয়েছে?
দুপুর সেঁতার হলে সুরের অধিক
লু গড়ায় বিছানায়, রোজ বেছে বেছে
কৃতকার্য খুন করে। মরুমাত্র ছাতে
পড়ে পাওয়া চাঁদ নিয়ে চলে লোফালুফি
বেগুনি চোখের জল বাঁজা নদীখাতে
বোমারু বিমান ঢেলে আসে চুপিচুপি
এভাবে বন্দীদশা, হাওয়ার অভাব
বিছানায় চোরাবালি। জোড়া বাস্তুসাপ।


আমি তো দ্রবের মত, পিছু ডাকা খৈ
পায়ের ছাপেরা পুজো পেলে আমি ফুল
আমাকে শুকোতে দিলে আমার মতোই
প্রতিবেশীরূপ ধরে প্রণব, মৃদুল।
আমি তো উপোষী থালা, কণা পড়ে নেই
গাছেরাও চেটে খেয়ে পাতা ঝরিয়েছে
এই ঘর পুষে রাখি এই ঘরেতেই
সক্কলে জীবন্মৃত, হাতঘড়ি বেঁচে।
আমি অজুহাতমাত্র, আমাকে দেখিয়ে
মালা দিল সদ্যতোলা আবক্ষ ফটোয়,
সন্ধ্যাকাশ বাসী আজ বহুবর্ণ ছি-এ,
ধর্ষক দিগন্তরেখা পাশ ফিরে শোয়।
আমি তো আমারই এক পালানোর প্ল্যান,
ইচ্ছেটুকু শুধু ক্ষুধাদিত্য শুষে ন্যান। 


কতদূর ভেসে যাব বলো? আমি রাজী !
আমাকে ভেলা বানিয়ে বিদগ্ধ শকুন
মৃতজ্ঞানে অবাধে করুক লবিবাজি,
আষ্ঠেপৃষ্ঠে খাক আপোষের নুন।
তারও পরে অনাদরে মুর্চ্ছিত ঠাকুর
ভাসানে সঙ্গী, ভাঙা ফ্রেম, পোড়া কাঠ
রাজী আমি, কিন্তু, ভেসে যাব যতদূর
যেন দেখি সব মাঠ ফসলভরাট।
সব ড্রেন নদীমুখী নয় তা তো জানো
সব অক্ষ সোজা নয়, রণক্লান্ত হলে
পিঠ-ও বেঁকতে বাধ্য, পরাক্রান্ত বাণ-ও,
লেখায় প্রয়োগ হয় খাগের বদলে
যাই করি, এ বাজারে জমবে না দেনা,
একান্ত তুমিটি শুধু দেহান্তে অচেনা।

Comments

পাঠকের পছন্দ