সুমি সাহা

ঔদ্ধত্য মানুষের ভরা পুকুরে করোনার এক পশলা বৃষ্টি...




অর্থাৎ সফিস্টিকেটেড্ হিপোক্রিট হয়ে থ্যাঁতলানো সুখ-ঘুম ভেঙে, আমরা প্রত্যেকে যেন একেকটা লাশের ভেতর আরেকটা লাশ সাজিয়ে তাতে নামকরণ করছি নিজেদেরই। বিষয়টা ভাবতে সময় লাগলে ন্যাকড়ায় নিজের পেচ্ছাপ আর ব্রাহ্মী মিশিয়ে মগজে শক্ত করে বাঁধুন। নইলে স্পষ্ট দু'আনার কথা মাথায় ইনপুট করা, আপনাদের বরাবরই স্বভাব বিরুদ্ধ। আজ বাঙালিদের প্রধানতম উৎসবের মধ্যে একটা ---- নববর্ষ। কিন্তু সময় 'করোনা' রূপে এসে আমাদের বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছে মানুষ আজও সেই বলিরূপী উৎসর্গ করা ছাগ মাত্র। তবুও সেই মধ্যযুগীয় ঈর্ষা দ্ধন্ধের সাথে একবিংশের মাৎসন‍্যায়ে এতো অভিন্নতা। সময় বারবার প্রমান দিয়ে গেছে স্তন্যপায়ীর অত্যাধিক বেলাল্লাপনার একমাত্র ওষুধ ---- প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা মড়ক। টোয়েন্টিথ্ ফার্স্ট সেঞ্চুরির বিজ্ঞান ও বিশ্বাস সবটা ধর্মের নামে অধর্মের দীর্ঘশ্বাসে চাপা পড়ে রয়েছে, তবুও হুঁশ নামক বস্তুর নিরন্তর মৃত্যু ঘটে চলেছে। এটা কি একটা শেষের শুরু নয়? 

যাই হোক, নৌকাডুবির অধ্যায়ে সেই বিজ্ঞানের দোহায় লঞ্চ হয়ে গেছে Covid-19 কে প্রতিহত করার জন্য Anti Malarial Drug (Hydroxychloroquine) ও Macrolide Antibiotic (Azithromycin)... এবার এটা নিয়েও হিংস্র শ‍্যেন দৃষ্টির রাজনীতি! আপনারা যারা অযাচিত ভাবে শুধুমাত্র স্বার্থের বিনিময়ে সব কিছুতেই রাজনীতি খুঁজে যাচ্ছেন, তারা দরজার থেকে অনেকটা বেশি মোহতে লক ডাউন করুন। ঈশ্বরিক শক্তির মাস্টারস্ট্রোক থেকে হয়তো রেহাই পেলেও পেতে পারেন। Hydroxychloroquine ড্রাগ শরীরে এন্ডোসোমাল পিএইচ এর পরিমান বৃদ্ধির মুখ্য উপাদান, যার ফলস্বরূপ covid 19-এর সেল আমাল্গাম হয়। এছাড়াও এই ড্রাগ ACE2 রিসেপটরের সাথে ভাইরাসের প্রোটিনকে অভিন্ন রাখার ক্ষমতা রাখে ও covid 19 Severe Acute Respiratory Syndrome (SARS)-কে প্রতিরোধ করে। And it's damn proved.

এবার আসি কিছুদিন আগের প্রসঙ্গে... 

জ্যোতি পান্ডে --- প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি --- প্রমীলা বর্মন --- ধর্ষণ --- খুন --- মৃতদেহ নৃশংসতার সাথে পৈশাচিক ভাবে পোড়ানো --- আর কঁচু পাতায় তরল রাখা FUCKED সিস্টেম। মনে আছে ঘটনা গুলো? নাকি মায়ের গর্ভে হস্তমৈথুন করেই সব ভুলে গেছেন? অথবা অবসরে সেলফির পাউটের সাথে পা-চাটা তেল আর এক্সপায়ার্ড স্পার্ম খেয়ে সব উড়ে গেছে??? 

এসব ঘটনার সময় আপনাদের মনুষ্যত্ব কোথায় ছিল? শুধুমাত্র রাজকীয় মোম মিছিল আর কুমির কান্না ছাড়া! ভাবুন! ভাবুন! 

আয়ু রেখায় পাপ ঢেলে পাপের চুমুক নিরন্তর দিয়ে গেলে মানুষ স্বভাবতই অকালমৃত্যুকে আলিঙ্গন দেয়, এটা মনে রাখা দরকার ছিল আমাদের প্রত্যেকের প্রত্যেকেরই। করোনা আমাদের সবার কৃতকর্মের শাস্তি স্বরূপ, শক্তির নিছক একটা আঙুল টোকা মাত্র। এটা শকুন হয়ে আপনার আমার শরীরের একেকটা অপরাধকে ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে। মাথার খুলি যেন পাঁচ তলা মল, পুরোটাই নির্বুদ্ধি দিয়ে ভর্তি। প্রকোষ্ঠ গুলোয় মন্দির মসজিদ --- দা কুড়াল ইত্যাদি ইত্যাদির বিষ না মিশিয়ে নিজেদের মান আর হুঁশের ট্যাবলেট খাইয়ে মানুষ বলে জানতে শিখুন। আপনাদের নিজেদের পচা মাংসের গন্ধে বিকল মনুষ্যত্বের অকালমৃত্যু যেন না ঘটে, তার কামনা করি!

হয়তো বিশ্রামে শান্তি আসবে! হয়তো পৃথিবী সত্যিই আপনাদের 'মাতৃসম' হবার ক্ষমতা পুনরায় গড়ে তুলতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না! 

তবে এখনও যদি নিজেকে কুম্ভকর্ণের নাতি মনে করেন, তাহলে অযথা বাইরের ধূলোবালি সাবান জলে না ধুয়ে, পারলে চায়ের মতো চুমুক দিন। কোনটা রাস্তায় রাখা আর ঘরে তোলার পণ্য, তফাতটা বুঝে যাবেন। অথবা কলিজার রক্ত দিয়ে বিড়ি টানুন, বুঝে যাবেন পূর্বপুরুষের শীৎকার আর সুনামি করোনার মতো আবারও আগাম মৃত্যুক্ষেত্রের ভবিষ্যৎবাণী!!!

Comments

পাঠকের পছন্দ